‘৩১ শে আগস্ট,১৯৭৮ সালে / জন্ম আমার আসানসোলে’।পড়াশোনার জন্যে পুরুলিয়া (রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির),কলকাতা(সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ) ঘুরে বেনারস(বেনারস হিন্দু ইউনিভারসিটি-এম বি এ)।তারপর কাজের খাতিরে নেপাল, নেদারল্যান্ড, ইউনাইটেড স্টেট , মালয়েশিয়া , সাউথ আফ্রিকা , স্কটল্যান্ড ঘুরে বর্তমানে লন্ডনের বাসিন্দা আমি।
এখানের Canary Wharf এ(Director at Skilliantech Ltd)একটি নামকরা কোম্পানির একজন ব্যস্ততম চাকুরীজীবী হলেও-‘গান-নাটক-কবিতার’ আসরে অথবা, সপরিবারে বন্ধুদের নিয়ে হৈহৈ করে ‘বনভোজন বা পূজা-আচারে’ মেতে ওঠাতেও আমি ভীষণ আনন্দ অনুভব করি।
কর্মজীবনে AUTOMATION বা নানান TECHNOLOGY নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি রঙ তুলি দিয়ে সাদা ক্যানভাস রাঙান;কিম্বা প্রকৃতির অধরা মাধুরীকে ক্যামেরায় লেন্স বন্দি করা আমার অন্যতম একটা প্যাশন।ভাল লাগে শরীরচর্চা- খেলাধুলা;তাই সুযোগ পেলেই জুটে যায় গলফ খেলায়।
টেমসের তীরে ছবির মতো সুন্দর লন্ডন শহর এবং এখানের মানুষ জনকে যেমন খুব ভালবাসি তেমনি, ভীষণ ভাবে মিস করি আমার দেশ এবং গ্রামের বাড়ির ঐতিহ্য–সংস্কৃতি এবং মানুষগুলোকেও।প্রাচ্যপাশ্চাত্যের সমস্ত বিষয়েই আমার কৌতূহলী মন সর্বদা খুঁজে চলে নতুন কিছু, নতুন আঙ্গিকে।আর যা গোপনে লিপিবদ্ধ হয় আমার ডাইরিতে।ছোটবেলায় স্কুলের দেওয়াল পত্রিকা থেকে আঁকা এবং লেখালিখির হাতেখড়ি।বন্ধু–বান্ধব আর শিক্ষক মহাশয়দের অনুপ্রেরণায় তখন লিখতাম একটু আধটু;সাথে ভালোলাগা তো ছিলই।
‘ভালোলাগার’ তাগিদে কলম ধরলাম পাকাপাকিভাবে।
গত মহালয়ায় আমার ‘মামার বাড়ির পূজা পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করেছে’-সেই প্রসঙ্গে দুই–চার কথা লিখেছিলাম।বলতে সঙ্কোচ নেই, চেনা –অচেনা বহু মানুষদের অকুণ্ঠ প্রশংসা আর আশীর্বাদ পেয়ে সত্যি নিজেকে ধন্য মনে করেছি। তাই আজ আপনাদের শুভকামনাকে পাথেয় করে সেই ‘ভালোলাগার’ তাগিদে কলম ধরলাম পাকাপাকিভাবে।
জীবনের মধ্যগগনে এসে – বিভিন্ন জায়গার কলা–সংস্কৃতি, পরিবেশ–পরিজন এবং আরও নানান বিষয়ে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি এবং দিনে দিনে তা আরও প্রসারিত হচ্ছে;তাই মনে হল,এই অনিভুতি গুলো যদি সবার সাথে ভাগ করে নিই,কেমন হয়? এমনি করেই হয়ত আরও অনেক পুরানো স্বজন–বন্ধুদের সাথে আবার যোগাযোগ হয়ে যেতে পারে;হতে পারে আরও অনেক নতুন মানুষের সাথে আলাপ–পরিচয়।আমার ,নিত্য নতুন মানুষ কে জানা বা বোঝার একটা সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা ও পূর্ণ হতে পারে এই অবসরে।
জীবনের মূলমন্ত্রই হল-‘চরৈবেতি’।আর এই চলার পথে জীবনই যেন সেরা শিক্ষক।এই জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলতে চলতে কর্মক্ষেত্রে কোম্পানির নানা সমস্যায় যেমন অন্যদের কিছু শেখায় তেমনি নিজেও শিখে চলেছি অহরহ।শেখার কোনও বয়স নেই বলেই আমি মনে করি।তাই চল্লিশের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে, ব্যস্ত কর্মজীবন আর সংসার জীবনের পাশাপাশি এখনও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বইপত্র নিয়ে Dual MBA পড়তে যেতে আমি অতখানিই স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দ উপভোগ করি, যতখানি কলেজ জীবনে করতাম।
কোনও কাজ শুরু করলে তা সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ করাই আমার স্বভাবসিদ্ধ আচরণ।আজ তাই ‘লেখার সফর’ শুরু করার আগে, প্রথমেই আমি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই আমার বাবা মা এবং শিক্ষা গুরুদের। ভালোবাসা জানাই আমার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের । কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সেই সমস্ত সমালোচকদের যারা তাদের সমালোচনার মধ্য দিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস কে আরো মজবুত করে তুলেছেন।
ধন্যবাদান্তে
আপনাদের